কারখানায় ঢুকে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা, ‘আগুন আগুন’ বলে পলায়ন
অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় প্রবেশ করে এক নারী শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করেছেন তাঁরই সাবেক স্বামী। নিহতের নাম মিতু আক্তার (২৩)। গতকাল বুধবার রাতে ঘটনার সময় সাবেক স্বামী সোহেল ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করে কারখানা থেকে পালিয়ে যান।
নিহত মিতু বাগেরহাট জেলার জিওধরা এলাকার বাসিন্দা।
কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোবারক হোসেন ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে কাশিমপুরের দক্ষিণ জরুন এলাকায় আনিসুল হকের বাড়িতে সোহেলকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মিতু। কাজ করতেন স্থানীয় ডেল্টা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ফিনিশিং সেকশনে। সোহেল স্থানীয় ইসলাম পোশাক কারখানার শ্রমিক। বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে মিতুর প্রায় দেড় মাস আগে বিয়েবিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁরা আলাদা বাসায় বসবাস করতেন। বুধবার নির্ধারিত সময়ের পর সন্ধ্যা থেকে মিতু কারখানায় অতিরিক্ত সময়ে (ওভার টাইম) কাজ করছিলেন। এ সময় সোহেল সেখানে এসে মিতুকে কারখানার ফ্লোর থেকে ডেকে ছয়তলার সিঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে সোহেল পোশাক কারখানায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিতুর ডান হাতের গোড়ায় আঘাত করে এবং শ্বাসনালি কেটে দেন। পরে তিনি কারখানা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় মিতুকে সিঁড়িতে পড়ে থাকতে কারখানার অন্য শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে সোহেল পলাতক।
কারখানার নিরাপত্তাকর্মী সফিকুল ইসলাম জানান, মিতুকে হত্যার পর সোহেল আগুন আগুন বলে কারখানা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান।
Leave a Comment