টি-টেন লিগে সাকিবদের কিংস-ই ‘রাজা’
অনলাইন ডেস্ক
ফুটবলের মতো ৯০ মিনিট স্থায়িত্বের দশ ওভারের নতুন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ‘টি-টেন ক্রিকেট লিগ’। ক্রিকেটের এই নতুন সংস্করণেও শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন সাকিব আল হাসান। চারদিন ব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাকিবদের কেরালা কিংস। ফাইনালে পাঞ্জাব লিজেন্ডসকে আট উইকেটে হারিয়ে টি-টেন ক্রিকেট লিগের প্রথম আসরের ‘রাজা’ ইয়ন মরগান-সাকিব-কাইরন পোলার্ডদের দল।
১৭ ডিসেম্বর রোববার দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। প্রথম সেমিফাইনালে মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল সাকিবদের কেরালা কিংস। ওই ম্যাচে দুর্ভাগ্যক্রমে নন স্ট্রাইকে থেকেই রান আউটের শিকার হন সাকিব। এই টুর্নামেন্টে পাখতুনসের হয়ে খেলেছেন আরেক বাংলাদেশি তারকা তামিম ইকবাল। তবে তামিমের দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঞ্জাব লিজেন্ডসের কাছে নয় উইকেটে হেরে বিদায় নেয়। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ৫৬ ও ৮ রান করা তামিম সেমিফাইনালে ৯ বলে করেন ১৭ রান।
ফাইনালে মুখোমুখি হয় পাঞ্জাব লিজেন্ডস ও কেরালা কিংস। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে লুক রনকির হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ১০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব লিজেন্ডস। ৩৪ বলে পাঁচটি চার ও সমানসংখ্যক ছক্কায় ৭০ রান করেন রনকি। ১৪ বলে ২৬ রান করেন শোয়েব মালিক। সেমিফাইনালে বোলিং করার সুযোগ না পেলেও ফাইনালে দুই ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
১২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন কেরালা ওপেনার চাঁদউইক ওয়ালটন। তবে পল স্টার্লিং ও অধিনায়ক মরগানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন স্টার্লিং ও মরগান। জয় থেকে আট রান দূরে থাকতে মরগান ফিরে গেলেও স্টার্লিং দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। মাত্র ২১ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মরগান। ২৩ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টার্লিং।
টি-টেন ক্রিকেট লিগের চার ম্যাচে বল হাতে কোনো উইকেটের দেখা পাননি সাকিব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গল টাইগার্সের বিপক্ষে এক ওভার বল করে মাত্র পাঁচ রান দেন সাকিব। ওই ম্যাচে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারও জিতে নেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। পরের ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং না করেও সেরা এনার্জেটিক খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন সাকিব। সেমিফাইনালে বল করার সুযোগ না পেলেও জয় থেকে দল যখন মাত্র চার রান দূরে তখন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে নন স্ট্রাইকে থেকেই আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আর ফাইনালে দু ওভার বল করে সাকিব খরচ করেন ৩১ রান।
Leave a Comment