নানার হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের অনেক দুঃসময় গেছে : সজীব ওয়াজেদ
অনলাইন
নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর পারিবারিকভাবে অনেক দুঃসময় গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আমাদের পরিবারকে বিদেশে থেকে যেতে হয়। এ সময় শুধু একটি ব্রিফকেস ভর্তি কাপড় এবং ২০০-৩০০ ডলার ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই ছিল না। এমন অবস্থায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে বেড়াতে হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে।
পারিবারিকভাবে এমন সব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
কষ্টের সময়গুলো পার করে বর্তমান সজীব ওয়াজেদ জয় হয়ে ওঠা আত্মবিশ্বাসের ফসল বলে জানান তিনি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ১৮তম লেটস টক উইথ সজীব ওয়াজেদ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একদল পেশাজীবীসহ প্রায় ৩৫০ তরুণ অংশ নেয়।
তরুণদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় তিনি বিগত আট বছরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা বর্ণনা করেন। এসময় দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশের আইসিটি খাত। ২০১০ সালে শূন্য থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের সদিচ্ছায় আইসিটি খাতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
১৯৭৫ সালের পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয় তার বাবা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে থেকে যেতে বাধ্য হন। এসময় তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ছিলেন তাদের সঙ্গে।
মাত্র ২শ’ থেকে ৩শ’ ডলার হাতে নিয়ে সে সময় তার পরিবার জার্মান থেকে লন্ডন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানেই নিজের কিশোর বয়স পার করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
পরবর্তীতে স্নাতক পর্ব শেষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় 'দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে। তার বিষয় ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পর্ব শেষ করার পর তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। এরইমধ্যে বিশ্বের বুকে তিনি বাংলাদেশকে আরো পরিচিত করে তুলেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারের মাধ্যমে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অর্জন করেন 'ইয়াং গ্লোবাল লিডার' অ্যাওয়ার্ড। আইসিটি খাতে বিশেষ দক্ষতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। প্রতিবছর বিশ্বে ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
এছাড়া ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন 'আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড'। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশে আইসিটি খাতের উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নের নিমিত্তে আইসিটি খাতের সর্বোচ্চ ব্যবহারের স্বীকৃতি স্বরূপ ত্রিদেশীয় সংস্থা 'প্লান ট্রিফিনি' আন্তর্জাতিক এনজিও 'গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট' এবং নিউ হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের সঙ্গে একত্রে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের ১ বছর পূর্তিতে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস।
Leave a Comment