বকেয়া বেতনের দাবিতে সাকিবের ফার্মে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Online Desk
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তহবিল গড়ছেন সাকিব আল হাসান। নিজের নামে ফাউন্ডেশন গড়ে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এরিমধ্যে মুশফিকুর রহীম তার ব্যাট নিলামে তোমার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনা মহামারি মধ্যে সাকিবের তৈরী করা একটি প্রতিষ্ঠানকে ঘীরে নেতিবাচক খবর বেরিয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় এই তারকা ক্রিকেটার গড়েছেন ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’। সেখানকার শ্রমিকরা সোমবার বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
জানা গেছে, চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সাকিবের সেই অ্যাগ্রোর কর্মচারীরা। এ জন্য কাঁকড়া চাষে জড়িত থাকা শ্রমিকরা বিক্ষোভে নেমেছেন।
সোমবার আন্দোলন শুরু করেন ফার্মটির বেশ কিছু শ্রমিক। যদিও করোনার এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন চার মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না তারা। প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে তারা আরও বিপাকে রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে খাবারও নেই।
যদিও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কাঁকড়ার চাহিদাও কম। সবচেয়ে বড় বাজার চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ। ৩৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা সাকিবের এই খামারে উৎপাদিত কাঁকড়া বিদেশে রফতানিও থেমে গেছে। বছর পাঁচেক আগে গড়ে উঠে এই খামারটি।
পুরো ঘটনাটি নিয়ে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন 'সকাল দশটার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারি। এরপরই আমি সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যকে পাঠাই। খামারের ম্যানেজারেরও সঙ্গে ফোনে কথা বলি। জানতে পারি সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন।'
ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, 'দ্রুত তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করি আমরা। ওই অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার জানিয়েছেন, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যেই বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এনিয়ে খামারের ম্যানেজারের সঙ্গে আমার মিটিং রয়েছে।'
জানা গেছে, সাকিবের সেই খামারে ১০০ থেকে ১৫০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে শ্রমিকদের এই বেতন না পাওয়ার বিষয়টি খোদ সাকিব জানেন কীনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেন নি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জানান এই খামারের পুরোটা দেখেন ম্যানেজার সগীর হোসেন পাভেল। যিনি সাকিবের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত। তাকে ফোনে অবশ্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Comment