বন্ধুকে রক্ষায় ফারমার্স ব্যাংকের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম
অনলাইন
বন্ধুকে রক্ষায় ফারমার্স ব্যাংকের সঙ্গে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের ১২ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সে সময়ে ব্যাংকের উদ্যোক্তা হয়ে গঠনতন্ত্রের এ ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই স্ট্যাটাসটি লিখেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এতে তিনি দাবি করেছেন, তার ‘এক অসহায় বন্ধুকে এক দানবের থাবানল থেকে রক্ষা’ করতে তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে নাম লেখাতে রাজি হয়েছিলেন। তার নামের প্রাইমারি শেয়ারগুলো তার বন্ধুর কেনা বলে তিনি দাবি করেছেন।
নাজমুলের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
'আমি কোন ব্যাংকের পরিচালক কিংবা উদ্যোক্তা কিছুই না। আমার এক অসহায় বন্ধুকে এক দানবের থাবানল থেকে রক্ষা করেছিলাম। সে পরিচালক হয়েছিলো, শুধু তার ওপর যেন দানবের থাবা আর না পড়ে সেজন্য আমার নামে কিছু প্রাইমারি শেয়ার কিনেছিলো সে। আমিও বোকার মতো রাজি হয়েছিলাম। সেই ব্যাংকে কোন অ্যাকাউন্টও নেই কিংবা যাইওনি কখনও। আজ সারাদিন সামাজিকমাধ্যম গরম ছিলো সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে নিয়ে । বিতর্কিত নিউজ এটা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী এবং আসিফ নজরুলের মতো পাপীও শেয়ার করেছে। ... এবং আমি নিশ্চিত উদযাপন করেছে আমার বিষয়টি; কারণ তার সাথে আমার হিসেবটা অনেক পুরোনো যেটা অনেকেই জানেন।
আর যারা আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর গিলছেন তাদের বলি দৌড়াতে থাকেন, হাঁপাতে হাঁপাতে দেখবেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাদা ফকফকা। কারণ সুযোগ থাকা সত্বেও কোন ভবন নিয়ন্ত্রণ কিংবা সরকারি কাজে দালালি কিংবা কমিশন খেয়ে কোন মানুষের উপকার করার মতো ঘটনা আমার ডিকশনারিতে নেই। যেটা হরহামেশাই অনেকে করেন। কতকিছু আমাকে বানালেন শেষ আইটেম এইটা দেখি কতটুকু হিট হয়।
আর সংবাদপত্রে যে রিপোর্টার যে ভাষায় নিউজটি করছেন সে হয়তো অনেক জমিদারের পুত্র; তবে আমি এখনও গর্ব করে বলি আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তবে আমার শখ পূরণ আমি করি, কারণ ছোটবেলা থেকেই আমার আত্মাকে আমি কখনোই কষ্ট দেই না ।
লিখবো আরেকদিন হয়তো...।’
Leave a Comment