ধলেশ্বরী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারনের রায় বহাল
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা দ্বীন ফার্নিচারের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতেই হবে। হাইকোর্টের দেওয়া এ সংক্রান্ত আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপাতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মো. আব্দুল মান্নান। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ২৫ মে ধলেশ্বরী নদীর উপর অবৈধভাবে দখল করে তৈরি সকল স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে দ্বীন ফার্নিচারের পক্ষে শামসুল হক আপিল করেন। ওই আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
ধলেশ্বরী নদীর তীর অবৈধভাবে দখল করে দ্বীন ফার্নিচারের স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে- এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী জনস্বার্থে একটি রিট করেন।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি স্থাপনা অপসারণে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে সার্ভে কমিটি গঠন করে অবৈধভাবে দ্বীন ফার্নিচারের দখলে থাকা জায়গার পরিমাণ প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মে তিন সদস্যের সার্ভে কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ঐ প্রতিবেদনে অবৈধ স্থাপনা, মাটি ভরাট ও অবৈধ দখলদারীদের নামের তালিকা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লা ও মুন্সিগঞ্জের মাঝামাঝি ধলেশ্বরী নদীর ১১ এবং ১২ নম্বর পিলারের ৯০ x ১৫০ বর্গফুট জায়গা দ্বীন ফার্নিচারের দখলে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ধলেশ্বরী নদীর সীমানা চিহ্নিত ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নং পিলারের স্থানে চারটি বালুর গদি ও ইটের গদি রয়েছে।
এছাড়া ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে দ্বীন ফার্নিচার নামক একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। এতে দখলকৃত জায়গার ১৩ হাজার বর্গফুট খাস খতিয়ানভুক্ত এবং নদীর তীরভূমির অংশে পড়েছে।
পরে ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে নদীর ওপরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির করা আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
Leave a Comment