‘আওয়ামী লীগ তিন দিনের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’
অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগ তিন দিনের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মুক্তি পরিষদের আয়োজনে খালেদা জিয়া ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা আলমগীর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরীর কাজ চলছে। আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত বসছি। আলোচনা করছি। এই জাতীয় ঐক্যে যদি সফল হওয়া যায় তবে আওয়ামী লীগ তিন দিনের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মাঠে নেমে আসতে হবে। যুবদলের নেতাকর্মীদের ঘরের ভেতর থেকে বাইরে আসতে হবে। দলে আমরা যারা বয়স্ক তারা সবাই বাইরে যাব। আপনারাও ঘরের ভেতর থেকে বাইরে যান। ২০ জন ২০ জন করে বাইরে যান। দেখেন পরিস্থিতি কি হয়। বিএনপি যদি রাস্তায় নামে সরকারের দাঁড়ানোর উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, এমনি এমনি কোনো কিছুই পাওয়া যায় না। পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। আজ আমাদের নেত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা কারাগারে। তাকে যদি কারামুক্ত করতে হয় তবে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এই আন্দোলন চলছে। আরো বেগবান করতে হবে। যুবকদেরকে মাঠে থাকতে হবে। আমি দেখেছি এই প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আমার বুকের উপর থেকে রাজকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাকিয়ে দেখি যুবকরা নেই। বক্তব্য শুরু হলেই পেছন থেকে যুবকরা সবাই চলে যায়। আজ সবাইকে আত্মসমালোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। আজকের নির্বাচন কমিশন একটি অথর্ব কমিশন। তারা সরকারের নির্দেশ মতো কাজ করে তাদেরকে সহযোগিতা করছে। এই কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুণর্গঠন করে আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। যে নির্বাচনে ভোটাররা নির্ভয়ে গিয়ে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারাই পরিস্থিতি তৈরী করছেন। সেই দিন বেশি দূরে নয়। যেদিন জনগণ তাদের জবাব দিয়ে দেবে। আওয়ামী লীগ তাদের জন্মের শুরু থেকেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, কোনোদিন করেনি। তারা স্বাধীনতার পর সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে যেমন রাস্তার পাশে লাশ পড়ে থাকে সেই দিনও এভাবে রাস্তার পাশে লাশ পড়ে থাকতো।
যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরুর সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
Leave a Comment